সৈয়দ মর্তুজার জীবনকথা

Abstract
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে প্রায় শতাধিক মুসলমান কবির নাম পাওয়া যায়, যাঁরা বৈষ্ণবপদের ঢঙে গীতিকবিতা রচনা করেন। বৈষ্ণব কবিদের মতোই তাঁরা অনেকে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলাকে কাব্যের বিষয়বস্তু হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। প্রাচীন বেষ্ণব-পদসংগ্রহে তাঁদের কারও কারও পদ সংকলিত হয়েছে। তাঁরা যে কবি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, এতে তারই প্রমাণ মিলে। সৈয়দ মর্তুজা তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ মর্তুজা সম্পর্কে প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় রংপুরের কবি হেয়াৎ মামুদের আম্বিয়াবাণী (১৭৫৭) কাব্যে। কবি বন্দনাংশে সৈয়দ মর্তুজার প্রতি ভক্তি নিবেদন করেন, উপরের উদ্ধৃতি থেকে তা জানা যায়। এর ৩ বছর পরে বৈষ্ণবদাসকৃত পদকল্পতরু (১৭৬০) নামক সুবৃহৎ পদ-সংকলন গ্রন্থে সৈয়দ মর্তুজার ভনিতাযুক্ত একটি পদ (২৯৫৭ সংখ্যক ) আছে। পদটির প্রথম চরণ “শ্যাম বন্ধু চিত নিবারণ তুমি।” এটি ভাবসম্মিলনের পদ। বৈষ্ণবদাসের নিবাস ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার ঢেঁয়া- বৈদ্যপুর গ্রাম; সৈয়দ মর্তুজা ঐ জেলার ছাপঘাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। উভয় স্থানের দূরত্ব ৬০-৭০ মাইল। বৈষ্ণবদাস একজন দক্ষ কীর্তন-গায়েন ছিলেন। উপরন্তু পদ-সংকলন কার্যে ব্রতী হয়ে তিনি নানা স্থান ভ্রমণ করেন। একই জেলার অধিবাসী হিসাবে তাঁর পক্ষে সৈয়দ মর্তুজার ঐ পদ সংগ্রহ করা স্বাভাবিক ও সহজসাধ্য ছিল।
Downloads

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 1999 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.