জমীদার দর্পণ : বিষয়স্বাতন্ত্র্য ও শিল্পবৈশিষ্ট্য

Abstract
মীর মশাররফ হোসেনের (১৮৪৭-১৯১১) চল্লিশ বছরের সাহিত্য সাধনার উজ্জ্বল কীর্তি জমীদার দর্পণ (১৮৭৩) নাটক। একশ' সাতাশ বছর পূর্বে প্রকাশিত এই নাটকে ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের জমিদারি ব্যবস্থার অভিশাপ ও অনাচার শব্দবন্দী হয়ে আছে। বস্তুত সাহিত্যিক স্বাতন্ত্র্য কিংবা নান্দনিক উৎকর্ষ নয়, বরং সমাজচিত্রের বস্তুনিষ্ঠ রূপায়ণের কারণেই জমীদার দর্পণ আজও বাংলাভাষী পাঠকের কাছে এক অনুপম গ্রন্থ রূপে আদৃত। জমিদারি ব্যবস্থার কুফল, শাসক-শোষিত সম্পর্কের হৃদয়হীনতা, সাধারণ প্রজার উপর জমিদারদের নির্মম নিষ্পেষণ, জমিদার-রাক্ষসের কাছে নারীর চরম লাঞ্ছনা—এইসব বিষয় নিয়েই গড়ে উঠেছে জমিদার দর্পণ নাটক। সুদূর ১৮৭৩ থেকে এ-যাবৎ নানা মাত্রায় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণে জমীদার দর্পণ নাটক বিবেচিত হয়েছে কখনো এর জনয়িতা প্রশংসায় নন্দিত হয়েছেন, কখনো-বা হয়েছেন নিন্দিত। জমিদারশ্রেণীর শোষণ আর জমিদারি ব্যবস্থার কুফল দেখানোই ছিল মীর মশাররফ হোসেনের মৌল অন্বিষ্ট। তাই নাটকের প্রারম্ভেই তিনি নিবেদন করেছেন নিরপেক্ষভাবে আপন মুখ দর্পণে দেখিলে যেমন ভাল মন্দ বিচার করা যায়, পরের মুখে তত ভাল হয় না। জমিদার বংশে আমার জন্ম, আত্মীয়-স্বজন সকলেই জমিদার, সুতরাং জমিদারের ছবি অঙ্কিত করিতে বিশেষ আয়াস আবশ্যক করে না। আপন মুখ আপনি দেখিলেই হইতে পারে। সেই বিবেচনায় জমিদার দর্পণ সম্মুখে ধারণ করিতেছি।
Downloads

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 1999 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.