নজরুল-চেতনালোক ও তাঁর কিশোর সাহিত্যের পরিমণ্ডল

Abstract
অতুলনীয় জীবনবৈচিত্র্য ও বিপুল সৃষ্টিসম্ভার নিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য, বিশেষত বাংলা কবিতার ধারায় একটি নবতর স্রোতের সৃষ্টি করেছিলেন। নজরুল ইসলাম সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন কৈশোরেই লেটোর দলের গান বেঁধে। তবে তাঁর ধারাবাহিক সাহিত্য-জীবনের শুরু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে কলকাতায় আসার পর থেকে। ১৯৪২ সাল নাগাদ কবি অসুস্থ হয়ে পড়লে এর সমাপ্তি ঘটে, যদিও তিনি বেঁচেছিলেন আরও প্রায় ৩৫ বছর। তাই সার্বিক বিবেচনায় নজরুলের সাহিত্যজীবন মূলত ঐ দুই যুগেরই। নজরুল তাঁর কৈশোরে যখন সিয়ারসোল স্কুলের ছাত্র তখন একটি চড়ুইছানার দুঃখ দেখে ‘চড়ুই পাখীর ছানা' কবিতাটি লিখেছিলেন। এই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বতঃস্ফূর্ত লেখার ধারাটি অব্যাহত ছিল নজরুলের সমস্ত জীবন জুড়ে। ফলে মাত্র দুই যুগে তিনি যা লিখেছিলেন তা গুণে ও পরিমাণে অতুলনীয়। নজরুলের প্রধান পরিচয় তিনি 'বিদ্রোহী'। সৌরমণ্ডল, পৃথিবী ও ভূতলের সবকিছুকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলতে চেয়েছেন এমন পরিচয়েই তিনি জনপ্রিয়। তবে এই ধবংস শুধু নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার জন্য নয়; বরং এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল - অন্যায়ের অবসান ও অত্যাচারীর শাস্তিবিধান; 'প্রলয়-মাতম' তার কাছে চিরদিনই ছিল ‘সৃজন-বেদন'। পাশাপাশি এই বিদ্রোহের আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল। আপাতবিচারে পরস্পরবিরোধী মনে হলেও সেটি ছিল বিশ্বে যুদ্ধের অবসান। ‘ক্ষত্রিয়’দেরকে যুদ্ধবাদীর প্রতীক হিসেবে এঁকেছেন তিনি।
Downloads

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 2024 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.