অর্থতত্ত্ব

Abstract
খুব সাধারণ অর্থে অর্থতত্ত্ব, সাদা কথায় অর্থ সম্বন্ধে আলোচনা। আর অর্থ হলো আমরা যারা ভাষাভাষী তাদের কাছে কেন্দ্রীয় উপাদান। অর্থ ছাড়া কারে৷ কাছেই কোন ভাষা হতে পারে না। কিন্তু এ বিংশ শতাব্দীর অনেক ভাষাতত্ত্ববিদই ভাষাতত্ত্ব আলোচনায় এবং বিশ্লেষণে ‘অর্থ’ সম্বন্ধে আলোচনা এক রকম উপেক্ষাই করে গেছেন। যদিও[চলিত ব্যাকরণসমূহে পদাদির প্রকারভেদ অর্থের উপর নির্ভর করেই স্থিরিকৃত হয়েছে। আধুনিক ভাষাতত্ত্বের ( Descriptive Linguistics) গোড়ার দিকে রূপতত্ত্বমূলক ভাষাতত্ত্ববিদগণ (Morphological Linguist) বাগার্থকে বিভিন্ন কারণে ভাষাতত্ত্ব আলোচনার বাইরে রেখেছন। ভাষাতত্ত্বকে একটা স্বনির্ভর (Imperial) এবং বস্তুনিষ্ঠ (Objective) বিজ্ঞান হিসাবে খাড়া করতে গিয়ে প্রচলিত ধারণা (Traditional notion ) থেকে দূরে থাকার জন্যই তাঁরা মুখ্যত ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে অর্থতত্ত্বকে পাশ কাটিয়ে গেছেন । তা ছাড়া বস্তুনিষ্ঠভাবে অর্থের বিশ্লেষণ “ ভাষাতত্ত্বে, সবচাইতে
কঠিন কাজ ।' অর্থতত্ত্ব স্বভাবগতভাবেই বস্তুনিষ্ঠ নয় বরং নির্বস্তুনিষ্ঠ। কারণ আমাদের প্রত্যেকের নিত্য ব্যবহৃত শব্দ বা বাক্য ইত্যাদির অর্থ সম্বন্ধে সামান্যতম হলেও বিভিন্ন ধারণা থাক৷ স্বাভাবিক । এ থেকে সহজেই বোঝা যায় দার্শনিক অর্থতত্ত্ব ও অন্যান্য সব রকমের অর্থতত্ত্বের অনেক পরে ভাষাতাত্ত্বিক অর্থতত্ত্ব (Linguistic Semantics)-এর উদ্ভব এবং বিকাশ।
বহু শতাব্দী ধরে অর্থতত্ত্ব দার্শনিক মনস্তত্ত্ববিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীর বিশেষ আগ্রহের বিষয় ছিল। শব্দ বা বাক্যের সঙ্গে বাস্তব জগতের বস্তুর কোন সম্পর্ক নেই। নামবাদী বনাম বস্তুবাদী অর্থতত্ত্ব বিতর্কে প্রাচীনকাল থেকেই গ্রীকরাও জড়িত ছিলেন। নামবাদীদের বিশ্বাস এই যে, আমরা রেওয়াজ অনুযায়ী যে বস্তুর যে নাম দেই, তার সঙ্গে বস্তুজগতের বস্তুর প্রকৃত কোন অচ্ছেদ্য সম্পর্ক নেই। অপরদিকে বস্তুবাদীরা বিশ্বাস করেণ যে, বাস্তব জগতের বস্তুর যে নাম যখন যেভাবে আমরা আরোপ করে থাকি তার সঙ্গে সে বিশেষ বস্তুটির অন্তনিহিত বৈশিষ্ট্য যে কোন রকমে সম্পর্কিত রয়েছেই। এ ধারণা মূলতঃ দার্শনিক এবং পরবর্তীকালে পরাতত্ত্ববিদ অর্থতত্ত্বভিত্তিক।
Downloads

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 1983 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.