জীবনানন্দ-কাব্যে অস্তিত্ববাদ প্রসঙ্গ

DOI: https://doi.org/10.62328/sp.v29i3.4

Authors

  • গালিব আহসান খান Author

Abstract

অস্তিত্ববাদকে আমরা দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে পারি। একদিকে পাই বিশুদ্ধ দার্শনিক তত্ত্ব; অন্যদিকে পাই মৌল জীবনবোধ। মৌল জীবনবোধের দিক থেকে সার্ত প্রধানত একজন শিল্পী ও সাহিত্যিক; বিশুদ্ধ দার্শনিক তত্ত্বের দিক থেকে তিনি মূলত একজন তাত্ত্বিক ও দার্শনিক; এভাবে দেখলে হাইডেগার ও হুজার হলেন মূলত অস্তিত্ববাদী দার্শনিক, শিল্পী বা সাহিত্যিক নন। অন্যদিকে ক্যামু প্রধানত অস্তিত্ববাদী সাহিত্যিক। এ-বিবেচনা অনুসারে জীবনানন্দ দাশকেও (১৮৯৯-১৯৫৪) আমরা অস্তিত্ববাদী জীবনচেতনায় পরিশ্রুত একজন কবি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। অস্তিত্ববাদের ইতিহাসে আমরা যে-কজন বিশিষ্ট দার্শনিককে পেয়ে থাকি, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন সার্ত। অস্তিত্ববাদ সম্পর্কে সার্তের দার্শনিক আলোচনা আমরা মূলত পাই তাঁর দুটো Being and Nothingness Existentialism and Humanism প্রথমটিতে প্রাধান্য পেয়েছে বিশুদ্ধ তত্ত্ব; দ্বিতীয়টিতে উপস্থাপিত হয়েছে মানবতাবাদের প্রেক্ষাপটে প্রদত্ত অস্তিত্ববাদী জীবনচেতনার বিশ্লেষণ । নিম্নোক্ত আলোচনায়, এ-কারণে, দ্বিতীয় গ্রন্থটিকে অনুসরণ করাই সঙ্গত এবং বাঞ্ছনীয়। অস্তিত্ববাদকে আমরা দু'ধারায় চিহ্নিত করতে পারি—যেমন, আস্তিক ও নাস্তিক। সার্ত এই দ্বিতীয় ধারার নাস্তিক্য দর্শনকেই গ্রহণ করেছেন। কিন্তু নাস্তিকতাকে যদি আমরা গ্রহণ করি, অর্থাৎ কোন ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তাকে আমরা যদি স্বীকার না করি, তাহলে মানুষের জীবন একটা বিশেষ রূপ পরিগ্রহ করবে। মানুষ অন্য কোন সত্তা দ্বারা সৃষ্ট নয়, পূর্ব-কল্পিত বা পূর্ব-নির্ধারিতও নয়। 

Downloads

Download data is not yet available.

Downloads

Published

1986-06-01

How to Cite

জীবনানন্দ-কাব্যে অস্তিত্ববাদ প্রসঙ্গ. (1986). সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka, 29(3), 115-129. https://doi.org/10.62328/sp.v29i3.4