রাজশাহী জেলার মেয়েলী গীতির ভাষাতাত্ত্বিক পর্যালোচনা

Abstract
বাংলা উপভাষা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক গবেষণা হয়েছে। উপভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশ্লেষণ করে ভাষাবিজ্ঞানীরা বাংলা উপভাষাকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করেছেন। উপভাষা নিরক্ষর মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত, অনেক. অক্ষরজ্ঞানসম্পন লোকজনও উপভাষায় কথা বলে থাকে। মেয়েলী-গীতগুলোও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরক্ষর মেয়েদের মুখে মুখে রচিত, বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই তা সমস্বরে অথবা এককভাবে গীত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিকভাবে মেয়েলী-গীতে একটি বিশেষ অঞ্চলের উপভাষার প্রভাব পড়তে বাধ্য। কিন্তু এ-পর্যন্ত মেয়েলী -গীতের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে খুব কমই আলোচনা হয়েছে। ‘একটি লোকগীতিকায় চট্টগ্রামের উপভাষা' শিরোনামে অনিমেষকান্তি পাল সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ লিখেছেন, তবুও তা মেয়েলী-গীত নিয়ে নয় উল্লিখিত হয়েছে যে মেয়েলী-গীতগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরক্ষর মেয়েদের মুখে মুখে রচিত এবং তারা উপভাষাতেই কথা বলে থাকে। কিন্তু মেয়েলী-গীতগুলোর ভাষা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—উপভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য এবং মেয়েলী গীতগুলোর বৈশিষ্ট্য-এর মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। আলোচ্য প্রবন্ধে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মেয়েলী-গীত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাগমারা অঞ্চল থেকে সংগৃহীত গীতগুলোতেও উপভাষা থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। যদিও গীতগুলো শোনা মাত্র বলে দেওয়া যায় যে, এগুলো রাজশাহীর উপভাষাতে রচিত। আমাদের সাহিত্যে লক্ষ্য করা যায় চলিত কথ্য ভাষা থেকে সাহিত্যের ভাষা অনেকাংশে স্বতন্ত্র। মেয়েলী-গীতের ক্ষেত্রেও নিরক্ষর মেয়েরা মুখের ভাষা থেকে স্বতন্ত্র কিছু রূপমূল ব্যবহার করে থাকে। এমনও হতে পারে গীতগুলো বহু পূর্বে রচিত।
Downloads

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 1988 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.