ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত বাংলা পুথির বর্ণানুক্রমিক নামসূচী

Abstract
এখন হইতে ৫৮ বৎসর পূর্বে গত ১৯২৯ ইং আমি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বার্ষিক শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম। দ্বিতীয় বার্ষিক শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় একদিন আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন বলিলেন সেই বৎসরই না কি তাঁহার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধ্যাপক হিসাবে যুক্ত থাকার শেষ বৎসর। সেই বৎসরই তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক পদে অবসর লইবেন। এ পর্যন্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দ্বিতীয় বার্ষিক শ্রেণীর কোন ছাত্রকে প্রাচীন হাতে লেখা বাংলা পুথি লইয়া গবেষণার কোন সুযোগ তিনি দেন নাই। সেই বৎসর তাঁহার অধ্যাপক জীবনের শেষ বৎসর হওয়ায়, বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বার্ষিক শ্রেণীর কোন ছাত্রকে প্রাচীন বাংলা পুথি লইয়া গবেষণার সুযোগ দিবেন। “কে এ জাতীয় কাজ করিতে রাজী আছ দাঁড়াও”। একাধিকবার উচ্চারিত তাঁহার এই কথা শুনিয়া আমি সঙ্কোচে দাঁড়াইয়াছিলাম। সেইদিনই কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গল সম্পাদনার দায়িত্ব ছাত্রাবস্থায় আমার উপর ন্যস্ত হইয়াছিল। এই কাজে হস্তক্ষেপের ফলে আমার প্রথম প্রয়োজন হইল কেতকাদাসের পুথি কোথায় আছে, তাহার অনুসন্ধান করা। আমার বাংলা পুথি অনুসন্ধানের সূত্রপাত কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গল পুথিকে কেন্দ্র করিয়া। প্রায় ৪৬ বৎসর পরে গত ১৯৭৮ ইং এশিয়াটিক সোসাইটি আমার সঙ্কলিত “বাংলা পুথির তালিকা সমন্বয়, প্রথম খণ্ড” প্রকাশ করেন। আমার সঙ্কলিত কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গলের প্রথম সংস্করণ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গত ১৯৪৩ ইং এবং দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯৪৯ ইং প্রকাশ করিয়া ছিলেন। তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশের প্রতীক্ষায় আছে। এই দুই সংস্করণ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের M. A. পরীক্ষার অন্যতম পাঠ্য নির্বাচিত হইয়াছিল।
Downloads

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 1988 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.