ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ‘বর্দ্ধমান সাহিত্যসভা’

Keywords:
‘বর্দ্ধমান সাহিত্যসভা’, ‘বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ’, পুথি সংগ্রহ, রাঢ় অঞ্চল, ক্ষেত্রসমীক্ষা, শব্দকোষ, সাহিত্য গবেষণাAbstract
বর্দ্ধমান সাহিত্যসভা’র পথ চলা শুরু হয় ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের ১২ চৈত্র। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল রাঢ় অঞ্চলের সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের আলোচনা। এই অঞ্চলের সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারের চেষ্টার জন্য প্রাচীন পুথি ও প্রত্নবস্তু সংগ্রহেও ভূমিকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। পুথি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ছাড়াও এই সাহিত্যসভা পুথি সম্পাদনা, গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশ এবং সাহিত্য গবেষণার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। রাঢ়ের সংস্কৃতিচর্চার অঙ্গ হিসেবে আঞ্চলিক শব্দ সংগ্রহে এক সময় উদ্যোগী হয় সংস্থাটি। সাহিত্যসভার অধিবেশন কেবল প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত না, সংস্কৃতিচর্চার অঙ্গ হিসেবে সংগীত, অভিনয়, পট-প্রদর্শন, কবিগানেরও আয়োজন হতো। এই প্রবন্ধে সাহিত্যসভা গড়ে ওঠার ইতিহাস, এর উদ্দেশ্য এবং সংস্থার বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় আলোচিত হয়েছে।
References
১. ‘বর্দ্ধমান সাহিত্য-সভা প্রথম বর্ষের কার্য্যবিবরণ’, প্রাণদাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (সম্পাদক), ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ। এরপর কার্য্যবিবরণটি ‘১৩৪৪ কার্য্যবিবরণ’ নামে উল্লেখিত হবে।
২. ‘বেঁচে থাক ‘সাহিত্যসভা’র ইতিহাস’, সুনন্দনকুমার সেন, আনন্দবাজার পত্রিকা বর্ধমান বিভাগ, ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
৩. সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় সুকুমার সেনের একাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। যথা: ‘প্রাচীন ভারতীয় আর্য্য ভাষায় গদ্যের ভঙ্গি’ (বর্ষ ৩৩ সংখ্যা ৩), ‘বাঙলায় নারীর ভাষা’ (বর্ষ ৩৩ সংখ্যা ৪), ‘ব্রজবুলি’ (বর্ষ ৩৭ সংখ্যা ৩), ‘শ্রীখণ্ডের সম্প্রদায় ও চণ্ডীদাস’ (বর্ষ ৪০ সংখ্যা ১), ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্ত্তনের ব্যাকরণ’ (বর্ষ ৪২ সংখ্যা ৩), ‘গোবিন্দদাস কবিরাজ’, ‘কয়েকটি নূতন সহজিয়া পদ’, ‘মালাধর-বসু (গুণরাজ-খান)-লিখিত শ্রীকৃষ্ণবিজয়’, ‘বিপ্রদাসের মনসামঙ্গল’ ইত্যাদি।
৪. পঞ্চানন মণ্ডল বর্ধমান শাখায় সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় একাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। যথা—‘বর্ধমান জেলা সাহিত্য সম্মেলন (দাঁইহাট অধিবেশন) সভাপতির ভাষণ’, ‘রাঢ়ের রাজধানী কোডিবরিসের সন্ধান’।
৫. ‘সম্পাদকের নিবেদন’, প্রাণদাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ‘বর্দ্ধমান সাহিত্যসভা বিবরণী’ পঞ্চম বর্ষ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা ১০। এরপর কার্য্যবিবরণটি ‘১৩৪৮ কার্য্যবিবরণ’ নামে উল্লেখিত হবে।
৬. ‘১৩৪৪ কার্য্যবিবরণ’।
৭. ‘বর্দ্ধমান সাহিত্যসভা নিয়মাবলী’, ‘বর্দ্ধমান সাহিত্য সভা বিবরণী’, প্রাণদাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (সম্পাদক), চতুর্থ বর্ষ, ১৩৪৭ বঙ্গাব্দ। এরপর কার্য্যবিবরণটি ‘১৩৪৭ কার্য্যবিবরণ’ নামে উল্লেখিত হবে।
৮. ‘১৩৪৮ কার্য্যবিবরণ’, পৃষ্ঠা ১০।
৯. বাংলা পুথির তালিকা সমন্বয় প্রথম খণ্ড, যতীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য (সঙ্কলক ও সম্পাদক), এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা, ১৯৭৮। এই গ্রন্থে বর্ধমান সাহিত্যসভার পুথিগুলির উল্লেখ পাওয়া যায়।
১০. ‘মহাকবি রূপরাম-জয়ন্তী’, পঞ্চানন মণ্ডল, শারদীয় বর্ধমানের বার্তা, বর্ধমান (পত্রিকা), ১৩৮৭ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ২৯।
১১. ‘মদনমোহন গোস্বামীর অপ্রকাশিত পত্রাবলি’, বর্তমান প্রাবন্ধিকদ্বয়, কথা সোপান (পত্রিকা), কলকাতা, অক্টোবর ২০২০, পৃষ্ঠা ১৬৬।
১২. ‘অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপ্রকাশিত তিন পত্র’, বর্তমান প্রাবন্ধিক প্রণবকুমার সাহা, সৌদামিনী স্মৃতিগ্রন্থ, রূপালী জয়ন্তী বর্ষ ২০১৭-১৮, বীরঝরা কন্যা মহাবিদ্যালয়, অসম, ২০১৯, পৃষ্ঠা ১৩৪।
১৩. ‘১৩৪৮ কার্য্যবিবরণ’, পৃষ্ঠা ১০।
১৪. পঞ্চানন মণ্ডলকে লেখা সুকুমার সেনের অপ্রকাশিত চিঠি। সংগ্রাহক বর্তমান প্রাবন্ধিক প্রণবকুমার সাহা ও সঞ্জয় হাঁসদা। সৌজন্য: পল্লীশ্রী লাইব্রেরী, শান্তিনিকেতন।
১৫. বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড, সুকুমার সেন, মডার্ণ বুক এজেন্সি, কলকাতা, ১৩৫০ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা নিবেদন অংশ।
১৬. ইসলামি বাংলা সাহিত্য, সুকুমার সেন, বর্দ্ধমান সাহিত্যসভা, ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ২।
১৭. ‘সাহিত্যবিশারদ আবদুল করিমের অপ্রকাশিত পত্রাবলি’, বর্তমান প্রাবন্ধিক প্রণবকুমার সাহা ও সঞ্জয় হাঁসদা, সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা, বর্ষ ১২৪, সংখ্যা ১-২, পৃষ্ঠা ৬৬।
১৮. তদেব, পৃষ্ঠা ৬৭।
১৯. শনিবারের চিঠি, শ্রাবণ ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ৪৯০।
২০. কৃষ্ণরাম দাস রায়মঙ্গল, সত্যনারায়ণ ভট্টাচার্য সম্পাদিত, বর্দ্ধমান সাহিত্য সভা, ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ১৩।
২১. বর্ধমানের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের উপাদান সংগ্রহের কয়েকটি প্রশ্ন এখানে তুলে ধরা হলো। যথা—গ্রামের প্রাচীনত্ব, প্রাচীনত্বের নিদর্শন, মন্দির পরিত্যক্ত কি দেবাধ্যুষিত, ধর্ম্মঠাকুর আছেন কি না, গাজন হয় কি না, অপর গ্রাম দেবদেবী আছেন কি না, গ্রামে কোন বিশেষ উৎসব বা মেলা হয় কি না ইত্যাদি।
২২. ‘১৩৪৭ কার্য্যবিবরণ’, পৃষ্ঠা ৯।
২৩. পঞ্চানন মণ্ডলকে লেখা সুকুমার সেনের অপ্রকাশিত চিঠি। সংগ্রাহক বর্তমান প্রাবন্ধিক প্রণবকুমার সাহা ও সঞ্জয় হাঁসদা।
২৪. ‘আমার চোখে সাহিত্য সভা ও সুকুমার সেন’, রাখহরি সরকার, ʻবর্ধমানিয়াʼ বর্ধমান প্রেমী ভাষাচার্য সুকুমার সেনের জন্মশতবর্ষের স্মরণে আয়োজিত আলোচনাচক্র, ৩০ নভেম্বর ২০০২। এরপর আলোচনাচক্রটি ‘বর্ধমানিয়া’ নামে উল্লেখিত হবে।
২৫. পঞ্চানন মণ্ডলকে লেখা সুকুমার সেনের অপ্রকাশিত চিঠি। সংগ্রহাক বর্তমান প্রাবন্ধিক প্রণবকুমার সাহা ও সঞ্জয় হাঁসদা।
২৬. তদেব।
২৭. তদেব।
২৮. ‘বর্ধমানিকা’।
২৯. ‘১৩৪৭ কার্য্যবিবরণ’, পৃষ্ঠা ৯।

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 2024 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.