সংস্কৃত বর্ণমালা: একটি তাত্ত্বিক অন্বেষণ

Keywords:
ব্রাহ্মী বর্ণমালা, দেবনাগরী বর্ণমালা, বাংলা বর্ণমালা, শিবসূত্র, প্রত্যাহার, অচ্, প্লুতস্বর, সন্ধ্যক্ষর, হল্, অযোগবাহ বর্ণ, অল্Abstract
বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত আওয়াজকে ধ্বনি বলে। আর ধ্বনির লিখিত রূপকে বর্ণ বলে। বর্ণ হলো ভাষা লেখার প্রকৃত মাধ্যম। মানুষ বর্ণের দ্বারা তার মনের ভাষা লিখিতরূপে প্রকাশ করে। ভাষা প্রকাশের প্রয়োজন থেকেই বর্ণের উদ্ভব। তাই বর্ণ হচ্ছে অর্থবহ প্রণালিবদ্ধ ধ্বনির লিখিত প্রতীক। ভাষাকে উচ্চারণে বা লিখিতরূপে জীবন্ত রাখার জন্য প্রয়োজন বর্ণের। পরস্পর ভাব-বিনিমিয়ের জন্য এক এক সমাজের মানুষ গড়ে তুলেছে এক এক রকম ধ্বনি-ব্যবস্থা ও বর্ণ-ব্যবস্থা। সমাজবদ্ধ মানুষের পারস্পরিক লিখিতভাব বিনিময়ের জন্য বর্ণ একটি উন্নত মাধ্যম। যেমন, বৈদিক ও বাংলা ভাষার বর্ণ হচ্ছে সেই মাধ্যমের এক একটি রূপ। কেননা বর্ণ মানুষের সমাজ ও সংস্কৃতির লিখিতরূপকে ধারণ এবং বহন করে। মানুষ বর্ণের মাধ্যমে তার সমাজ ও সভ্যতার ইতিহাসকে চিরস্থায়ী করে রাখতে পারে। লক্ষণীয়, পৃথিবীতে এমনও ভাষা আছে যার নিজস্ব বর্ণ নেই। সংস্কৃত ভাষা হচ্ছে তার অন্যতম দৃষ্টান্ত। সে অন্য ভাষার বর্ণকে গ্রহণ করে স্বমহিমায় যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে। সংস্কৃত ভাষা বৈদিক ভাষার সংস্কারকৃত রূপ হলেও বৈদিক ভাষার বর্ণব্যবস্থার (দেবনাগরী বর্ণমালা) মাধ্যমেই তার আত্মপ্রকাশ। তবে আমাদের মধ্যে একটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা, দেবনাগরী বর্ণমালাই বুঝি সংস্কৃত ভাষার বর্ণমালা। কিন্তু এ ধারণা সত্য নয়। উল্লেখ্য, সংস্কৃত ভাষা শুধু দেবনাগরী বর্ণমালার মাধ্যইে নয়, বাংলাসহ পৃথিবীর অনেক উন্নত ভাষার বর্ণমালার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ প্রবন্ধে সংস্কৃত ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা আছে কী নেই তা অন্বেষণ করে সংস্কৃত ভাষা কীভাবে দেবনাগরী ও বাংলা ভাষার বর্ণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় তার একটি তাত্ত্বিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 2025 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.