শরৎচন্দ্রের উপন্যাস : বঙ্গীয় সমাজ-বৃত্তে নারী

Abstract
স্থানিক ও কালিক প্রেক্ষাপটেই কথাশিল্পী তাঁর রচনার পটভূমি তৈরী করেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্যও এর ব্যতিক্রম নয়। সমকালীন বঙ্গদেশের বাস্তবতা তাঁর কথাসাহিত্যে বিধৃত। শরৎচন্দ্রের সমকালীন সমাজ বলতে বুঝানো হয়েছে ১৯৭৬-১৯৩৮ পর্বের কথা। শরৎচন্দ্র তাঁর সমকালীন বাংলার সমাজকে অধ্যয়ন করেছিলেন গভীর অভিনিবেশ সহকারে অত্যন্ত নিকট থেকে। নরনারীর জীবন ও সম্পর্ককে প্রচলিত রীতির বাইরে গিয়ে ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যক্ষ করার যে তরঙ্গ বিশ শতকে আসে, তা শরৎচন্দ্রের শিল্পচেতনাকেও তরঙ্গিত করেছিল। উত্তরকালের রচনায় নারীর বন্ধন-অসহিষ্ণু ব্যক্তিত্ব সচেতন রূপের যে পরিচয় তাঁর রচনায় ফুটে উঠেছিল, তার নেপথ্যে বার্মার অভিজ্ঞতা ছিল সক্রিয়। শরৎচন্দ্রের কথাসাহিত্যে সামাজিক সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু নরনারীর সম্পর্ক'। অন্যান্য সমস্যা একে ঘিরেই আবর্তিত। নরনারীর সম্পর্ক চিত্রাঙ্কণের ক্ষেত্রে সংস্কারাচ্ছন্ন ধ্যান-ধারণা দ্বারা পরিচালিত হননি তিনি। ব্যক্তির হৃদয়কে তার ক্ষমতা-অক্ষমতা, কামনা-বাসনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, মানসিক ক্ষুধা-যন্ত্রণা ইত্যাদির আলোকে অবলোকন করেছেন শরৎচন্দ্র। গল্প ও উপন্যাসে নর-নারীর সম্পর্কের নানা সংকট এবং কতিপয় অমানবিক, অযৌক্তিক সমাজ-সংস্কার সম্পর্কে বাঙালির সামনে নতুন ভাবনা উপস্থাপিত করেছেন শরৎচন্দ্র।
Downloads

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 1994 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.