ভারতীয় দর্শনের বিকাশে প্রাক্-বৈদিক ও বৈদিক সাহিত্যের প্রভাব

Abstract
ভারতীয় দর্শনের সূচনা কাল থেকেই এখানে প্রাক-বৈদিক ও বৈদিক নামে পৃথক দুটি ধারা প্রবহমান। প্রথমটির উৎস অবৈদিক বা প্রাক-বৈদিক সভ্যতা। আর শেষেরটির উৎস বৈদিক সাহিত্য, প্রচলিত অর্থে এই বৈদিক সাহিত্যকেই ভারতীয় দর্শন ও সংস্কৃতির একমাত্র উৎস বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে বেদকে ব্যাপক অর্থে গ্রহণ করা হয় এবং আগমশাস্ত্র, আয়ুর্বেদ ও সঙ্গীতবিদ্যা প্রভৃতি শাস্ত্র এবং শিল্পকলাকেও বৈদিক সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু নিরপেক্ষভাবে বিচার করলে বৈদিক সাহিত্যের কোনো অংশেই আগম শাস্ত্র, আয়ুর্বেদ, সঙ্গীতবিদ্যা এবং শিল্পকলাকে অন্তর্ভুক্ত করে দেখানো যায় না। তাই ভারতীয় দর্শন ও সংস্কৃতির বিকাশে বৈদিক সাহিত্যের অবদানের মতো প্রাক- বৈদিক জাতি-গোষ্ঠীর সাহিত্যিক অবদানকেও আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে। এ দিকটির ওপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে ভারতীয় দর্শন কি প্রাক-বৈদিক সভ্যতার সাথে বৈদিক সভ্যতার সংমিশ্রণের পরিণাম, না-কি বৈদিক সভ্যতার সাথে প্রাক-বৈদিক সভ্যতার সংমিশ্রণের ফল? এ ব্যাপারে আমরা সুস্পষ্টভাবে কিছু বলতে না পারলেও ভারতীয় দর্শন ও সংস্কৃতি যে কেবল বৈদিক সাহিত্যের কিংবা কেবল প্রাক-বৈদিক সভ্যতার সরল বিকাশ নয়, একথা অবশ্যই স্বীকার্য। তাই ভারতীয় দর্শনকে তার সামগ্রিক প্রেক্ষিত থেকে বুঝতে হলে প্রাক- বৈদিক ও বৈদিক উভয়বিধ ভিত্তির ওপর যুগপৎ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
Downloads

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 2024 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.