দ্বিজরাম শর্মার কীর্তিশতক

Abstract
কবি-প্ৰসঙ্গ: সংস্কৃত সাহিত্য-জগতে যে-সব বাঙালি কবি নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, দ্বিজরাম শর্মা তাঁদের অন্যতম। তিনি কীর্তিশতক নামে একটি শতককাব্য রচনা করেন। সম্ভবত তিনি সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ দিকে বা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আবির্ভূত হয়েছিলেন। কাব্যের প্রথম শ্লোক থেকে জানা যায় যে, তিনি গঙ্গার নিকটবর্তী সুভর্ত্তিপুর নামক গ্রাম বা নগরে বাস করতেন। তাঁর পিতার নাম পল্বব। তিনি সম্ভবত বর্ধমানরাজ কীর্তিচাদের (১৭০২-১৭৪০ খ্রি:) সভাকবি ছিলেন এবং তাঁর প্রশংসার জন্য এ কাব্য রচনা করেন। ডঃ অতুল সুর প্রদত্ত তথ্য থেকে জানা যায়, দ্বিজরাম নামে এক কবি অষ্টাদশ শতাব্দীতে তৎকালীন বাংলাদেশে বর্তমান ছিলেন। এই কবি দ্বিজরাম এবং কীর্তিশতক রচয়িতা দ্বিজরাম শর্মা একই ব্যক্তি হওয়া অসম্ভব নয়। তবে কাব্যমধ্যে তিনি তাঁর বিস্তারিত পরিচয় প্রদান করেন নি। কাব্য-প্রসঙ্গ: কীর্তিশতক একটি শতককাব্য। সংস্কৃত সাহিত্যজগতে শতককাব্য বিশেষ শ্রেণীর রচনা। শতককাব্য শ্রব্য কাব্যের অন্তর্গত - পদ্যে রচিত। এতে জগৎ, জীবন, দেশ ও সমাজ সম্পর্কে কবির ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ কবির একান্ত জীবনানুভূতিই শতককাব্যের মূল উপজীব্য বিষয়। পরস্পর অর্থনিরপেক্ষ একশত কিংবা কিঞ্চিৎ ন্যূনাধিক শ্লোকে এই শ্রেণীর কাব্য রচিত হয়। শ্লোক সংখ্যার এ তারতম্যের অন্যতম কারণ রচয়িতার নিজহস্তে লিখিত পুঁথি না-পাওয়া এবং অধিকাংশ সংস্কৃত পুঁথিতে অনুলিপি অথবা প্রতিলিপি কালে প্রক্ষেপণ। শ্লোক সংখ্যার তারতম্য হলেও শতককাব্য একটি বিশেষ ভাবকে আশ্রয় করে রচিত হয়। ফলে কাব্য থেকে কিছু শ্লোক আলাদা করে নিলেও বাকি শ্লোকসমূহের মর্মোপলব্ধিতে অসুবিধা হয় না। “পারস্পরিক নিবিড় সম্বন্ধহীন শত শ্লোকের সমষ্টিই ‘শতক' কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
Downloads

Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 2024 সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.