বাংলার দু'জন সূফী-সাধক কৰি

DOI: https://doi.org/10.62328/sp.v26i2.6

Authors

  • শেখ এ. টি. এম. রুহুল আমিন Author

Abstract

বাংলা-পাক-ভারত এ-বিরাট উপমহাদেশে অনেকগুলো আঞ্চলিক ভাষা ছিল এবং এখনও আছে, আর অনাগত দিনেও থাকবে বলে আশা করা যায়। আমাদের এ ‘বাংলা ভাষা' এ উপমহাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেরই একটি ভাষা এবং অসংখ্য আঞ্চলিক ভাষা-সমূহের মধ্যে একটি। কিন্তু কী সীমাহীন সৌভাগ্য এ বাংলা ভাষার! ‘বীণাপাণির' সুনজরে পড়ে আজ বাংলা ভাষা বিশ্বের দরবারে সসম্মানে সুপ্রতিষ্ঠিত। এ বিরাট উপ-মহাদেশের এক কোণের এক কালের একটি অখ্যাত ভাষা 'বাংলা'র এই যে অসীম সৌভাগ্য—তা অপর কোন আঞ্চলিক ভাষার ভাগ্যে জোটেনি। এর কারণ কি? দেবী সরস্বতীর সুনজর অন্য কোন আঞ্চলিক ভাষার উপর না পড়ে কেবলমাত্র আমাদের এক কালের একটি অখ্যাত ভাষা ‘বাংলা’র উপর পড়লো কেন? কোন্ মহাপ্রাণ ব্যক্তিত্ব ‘দেবী বীণাপাণি’কে আহ্বান জানিয়ে বাংলার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলেন? এ প্রশ্নগুলোর সদুত্তর ভবিষ্যতে পাবার আশায় বাংলা সাহিত্যের ও বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের পণ্ডিত ও গবেষকদের সমীপে পেশ করে আপাততঃ আমাদের মূল বক্তব্যের দিকে রওয়ানা হই। বাংলার কি সাহিত্যিক কি রাজনৈতিক ইতিহাসের পণ্ডিতদের মনে পূর্বে নানা দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকলেও বোধ করি আজ আর কারও মনে কোন প্রকারের সন্দেহ নেই যে, পনর শতকেই বাংলা ভাষা তার সাহিত্যিক রূপ নিয়ে প্রকাশ্যে আবির্ভূত হয়”। সেই পনর শতক থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় সুদীর্ঘ ছয় শত বছর ধরে যেসব গুণী-জ্ঞানী কবি-সাহিত্যিক বাংলা ভাষাকে বিশ্ব-সাহিত্যের আসরে ‘রাজ-আসন' লাভে নিজেদের সর্ব-শক্তি ও প্রল প্রতিভাকে নিয়োজিত করেছিলেন—তাঁদের সকলের খবর আমরা পাইনি, যাঁদের খবর আমাদের গোচরীভূত হয়েছে তাঁদেরও হয়ত সকল সংবাদ আমাদের কাছে এসে ধরা দেয়নি। নানা প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক কারণে তাঁদের প্রতিভার ফসল মহাকালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যাঁদের কিছু কিছু কথা মহাকালকে অতিক্রম করে আমাদের দুয়ারে এসে পৌঁছেছে, বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আমরা তাঁদের মধ্যে দু'জন সম্পর্কে যৎসামান্য আলোকপাত করার চেষ্টা করবো; এঁরা হলেন আঠারো শতকের প্রথম দিকের ও শেষ দিকের দু'জন সূফী-সাধক কবি; সূফীকবি শেখ চান্দ ও সূফীকবি সৈয়দ নুরুদ্দীন।

Downloads

Download data is not yet available.
cover

Downloads

Published

1983-04-01

How to Cite

বাংলার দু’জন সূফী-সাধক কৰি. (1983). সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka, 26(2), 84-111. https://doi.org/10.62328/sp.v26i2.6