অস্তিত্ববাদ ও কবিতা : রবীন্দ্রকাব্যের প্রেক্ষাপট

Abstract
আমরা যখন কোনকিছু সম্পর্কে জানতে পারি যে বিষয়টি কী, তখন তার পূর্ণতা আসে দুটো দিক থেকে অর্থাৎ ওটা কী এবং কী নয়। যেমন, মানুষ কী - এটা জানতে গিয়ে জানি যে, মানুষ বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী এবং এটাও জানি যে মানুষ চতুষ্পদ নয়। এভাবে সাহিত্য সম্পর্কে বলতে পারি যে, সাহিত্য হলো মানব জীবনের সমাজচিত্র কিন্তু সমাজবিজ্ঞান নয়, এটা রচিত চিত্র অঙ্কিত নয় এবং এটা ভাবভাষ্য চিত্র গবেষণা নয়। সাহিত্যের এই মূল ধারণার মধ্যে দুটো দিক রয়েছে একটা হলো বিষয়বস্তুকে নিয়ে এবং অন্যটি হলো বিষয়বস্তুর বয়ন প্রক্রিয়া, যার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় জীবনের সমাজ-বিজড়িত রূপ । এখানে বয়ন প্রক্রিয়াপূর্ব মূল বিষয়টি হলো মানুষের জীবন, এ জীবনের অস্তিত্ব। এ অস্তিত্বের রচিত চিত্র আসে গল্প উপন্যাসের মধ্য দিয়ে এবং এ অস্তিত্বের ভাবভাষ্য চিত্র আসে কবিতার মধ্য দিয়ে। অস্তিত্বের এ প্রকাশ, অথবা বলতে পারি, অস্তিত্ববাদের একটা প্রতিফলন, সাহিত্যের একটা মৌলিক দিক – সেটা গদ্য হোক বা পদ্য হোক – অস্তিত্বের চেতনা সেখানে থাকবেই। এই চেতনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ বাংলা কবিতায় কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তার কিছু দিক আমি তুলে ধরব আমার এ লেখায়। প্রথমে আলোকপাত করব অস্তিত্ববাদের প্রাতিষ্ঠানিক রূপধারার কিছু দিক নিয়ে।
