পিঞ্জরে বসিয়া শুক : কমলকুমারের জীবনদৃষ্টি ও রচনাশৈলী

DOI: https://doi.org/10.62328/sp.v51i3.1

Authors

  • মোহাম্মদ আজম University of Dhaka Author

Abstract

কমলকুমার মজুমদারের (১৯১৪-১৯৭৯) পাঠকদের অনেকের মত এই যে, পিঞ্জরে বসিয়া শুক (১৩৮৫) লেখকের এবং বাংলা ভাষারও দুরূহতম উপন্যাস। এর ভাষা ও ভঙ্গির দুরূহতার ব্যাপারে কোনো ভিন্নমত পাওয়া যায় না। কেউ কেউ বিষয়ের জটিলতার কথাও বলেছেন। কিন্তু বিষয় ও ভাষা-ভঙ্গির পারস্পরিকতার দিকটি খুব কম ক্ষেত্রেই বিবেচিত হয়েছে। সাধারণভাবে মনে করা হয়, ভাষা ও ভঙ্গির জটিলতা আরো কম হতে পারত। তাতে পাঠকের পক্ষে উপন্যাসটির ‘মূল্যবান' ভাবলোকে আরো ভালোভাবে প্রবেশ করা সম্ভব হত। সাধারণত এসব বিবেচনায় উপন্যাসের বিষয় আর ভাষা-ভঙ্গিকে আলাদা করে ভাবা হয়, কিংবা অন্তত অদ্বৈত ভাবা হয় না। তাছাড়া ভাষা বলতে বোঝানো হয়, মোটের উপর, ব্যাকরণিক বিধি-বিধানের সমষ্টিকে। আরো গভীরে, ভাষা যেখানে জীবনের বাগ্বিধি ধারণ করে স্বয়ং জীবনের রূপ পায়, বা শব্দ বা বাক্যাংশ যেখানে স্বয়ং জীবন ও উপলব্ধির নতুন সংজ্ঞা হয়ে ওঠে, সে স্তরে তত্ত্ব-তালাশ বেশি করা হয়নি। লম্বা ও জটিল বাক্য, উপবাক্য বা অন্তঃবাক্যাংশের ব্যবহার ইত্যাদির ক্ষেত্রে অন্যভাষার প্রভাব যতটা খোঁজা হয়েছে, লেখকের বিশেষ মুদ্রা (দোষ) যতটা প্রাধান্য পেয়েছে, বিষয়ের অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসাবে ততটা দেখা হয়নি।

cover

Downloads

Published

2014-06-01

How to Cite

পিঞ্জরে বসিয়া শুক : কমলকুমারের জীবনদৃষ্টি ও রচনাশৈলী . (2014). সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka, 51(3), ৯-২৭. https://doi.org/10.62328/sp.v51i3.1