গীতাঞ্জলি কাব্যের অধ্যাত্মবোধ : পরিপ্রেক্ষিত ও স্বরূপ

Abstract
গীতাঞ্জলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কিংবা প্রধান বা প্রিয় কাব্যের কোনোটিই নয়। এমনকি কোনো গবেষক-সমালোচক তা দাবিও করেননি। কিন্তু এই কাব্যের জন্যই তিনি পান নোবেল পুরস্কার। গীতাঞ্জলি কাব্যই কবিকে প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বকবিরূপে। ইউরোপের মানবতন্ত্রী ও বিজ্ঞানতন্ত্রী সভ্যতার নিচের তলায় ছিল কুটিল ক্ষয় আর উপরতলায় ছিল কুৎসিত স্বার্থপরতা এবং শূন্যতা। এমন সময়ে অপেক্ষাকৃত সরল অথচ গভীর সংস্কৃতির মর্মস্পর্শী বাণী রবীন্দ্রনাথ উপস্থাপন করলেন তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যে। গীতাঞ্জলিতে এক ভাবের ঘোর কবিকে পেয়ে বসেছিল, সেই ভাবের ঘোরেই কবি নির্মাণ করেছিলেন গীতাঞ্জলির 'নবজীবন'। কবির সেই 'নবজীবনে'র স্বরূপ সন্ধান-ই এই রচনার অভিপ্রায়।
