অমৃতলাল বসুর প্রহসন : সমাজবাস্তবতার রূপচিত্র

Abstract
বাংলা নাটকের বিকাশ পর্যায়ে যেসব নাট্যকার প্রত্যয়ী ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের অন্যতম অমৃতলাল বসু (১৮৫৩-১৯২৯)। নট-নাট্যকার ও মঞ্চাধ্যক্ষ হিসেবেই তাঁর খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা। হাস্যরসাত্মক প্রহসন রচনার জন্য সমকালে তিনি 'রসবাজ' আখ্যা পান । উনিশশতকের সমাজ পরিসরে বিদ্যমান বিবিধ অসঙ্গতি তাঁর প্রহসনে ব্যঙ্গাশ্রয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। এ-সময় পাশ্চাত্য শিক্ষার অন্ধ অনুকারী একশ্রেণির বিপথগামী বাঙালি তরুণ জাতিগত স্বকীয়তা এবং আবহমান প্রচলিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আত্মমর্যাদাবোধ বিসর্জন দিয়ে বহ্নিমুখ পতঙ্গের মতো ধাবিত হয় আত্মবিনাশী পরিণতির দিকে। নব-উদ্ভূত 'বাবু' শ্রেণির দৌরাত্ম্যে কল্লোলীয় কলকাতার সমাজ কিংবা পরিবার পরিসরে যে নৈরাজ্যকর বিকৃতি সর্বগ্রাসী রূপে আবির্ভূত হয় তারই শিল্পরূপায়ণ ঘটেছে অমৃতলাল বসুর প্রহসনে । প্রহসন রচনায় তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও দীনবন্ধু মিত্রের সার্থক উত্তরসূরি । প্রহসনকার হিসেবে তাঁর কৃতিত্ব নিরূপণের জন্য বর্তমান প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে তিনটি প্রহসন: বিবাহ-বিভ্রাট (১৮৮৪), বাবু (১৮৯৪) এবং বৌমা (১৮৯৭)।
