চিত্তরঞ্জন ও নজরুল : নজরুলের একটি কবিতার অগ্রন্থিত অংশ

Abstract
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও কাজী নজরুল ইসলাম স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব; মহাত্মা। তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্কও ছিল সর্বোচ্চ পরিমাণে উষ্ণ। তাঁরা মাত্র তিন- সাড়ে তিন বছর অর্জন করেছেন পরস্পরের সান্নিধ্য। এই অল্পসময়ের মধ্যেই তাঁরা পরস্পর পরস্পরকে সমীহ করেছেন: প্রভাবিত করেছেন; প্রভাবিত হয়েছেন। উভয়েরই লক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা: প্রত্যাশা ছিল বাঙালির জন্য শোষণমুক্ত দেশ গড়ার। দুজনের বয়সে পার্থক্য প্রায় ত্রিশ বছর কিন্তু প্রত্যাশার কোনো পার্থক্য ছিল না তাঁদের। চিত্তরঞ্জন দাশের অকাল প্রয়াণের পর নজরুল অনুরুদ্ধ অথবা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চিত্তরঞ্জন-স্মরণে যে পাঁচটি কবিতা রচনা করেছেন সেগুলোতে নজরুল-চিত্তের গভীরতর আবেগ ও শ্রদ্ধার প্রতিফলন রয়েছে : প্রয়াত চিত্তরঞ্জনের প্রতি অনিরুদ্ধ ভক্তি ও প্রেমাবেগে নজরুল ‘ইন্দ্রপতন' কবিতায় এমন কিছু বিশেষণ ব্যবহার করেছেন যেগুলো মুসলিম ভাবধারার অনুকূল নয় বলে মত দিয়েছিলেন কয়েকজন মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক। ফলে নজরুল কবিতাটির আপত্তিকর চারটি চরণ সংশোধন করে পরবর্তীকালে চিত্তনামা গ্রন্থে প্রকাশ করেন। বর্তমান প্রবন্ধটি চিত্তরঞ্জন-নজরুলের সম্পর্কের গভীরতা এবং প্রয়াত চিত্তরঞ্জনকে উদ্দেশ্য করে নজরুলের কবিতা রচনার অজানা দিক উন্মোচনের উদ্দেশ্যে রচিত একটি কৌতূহলসঞ্চারী সন্দর্ভ।
