গম্ভীরা গান পরিবেশনায় উচ্চবর্গের মতাদর্শিক আধিপত্য ও নিম্নবর্গের প্রতিরোধ

Abstract
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী অভিনয় শিল্প হিসেবে গম্ভীরা গান পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে নিছক বিনোদনের উদ্দেশ্যে এই পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । কখনো কখনো সমাজের অবিচার, অনাচার, অন্যায্যতার বিরুদ্ধেও গম্ভীরা গান প্রতিরোধের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সময় বিশেষে নিম্নবর্গ গম্ভীরা গানকে ব্যবহার করে উচ্চবর্গের নিকট থেকে সুবিধা আদায় করে থাকে। তখনই গম্ভীরা গান উচ্চবর্গের মতাদর্শ প্রকাশের আদর্শ ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। গম্ভীরা গান শুধুমাত্র নিম্নবর্গের প্রতিরোধের মাধ্যম হিসেবেই ব্যবহৃত হয় না বরং উচ্চবর্গের মতাদর্শ প্রকাশের ক্ষেত্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এর ফলে, নিম্নবর্গ তাদের অধিকার সংরক্ষণে যেমন বিচিত্র প্রতিরোধমূলক কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে তেমনি উচ্চবর্গও তাদের মতাদর্শ ও প্রভাব টিকিয়ে রাখতে রচনা করে চলে নানান ধরনের হেজিমনি কৌশল। এই প্রবন্ধে রনজিৎ গুহ'র সাবলটার্ন স্টাডিজ তত্ত্ব ব্যবহার করা হয়েছে । তথ্য বিশ্লেষণের জন্য জেমস সি. স্কটের Everyday forms of resistance (1985) গ্রন্থের সাহায্য গ্রহণ করা হয়েছে । নিম্নবর্গ ও উচ্চবর্গের ক্ষমতার সম্পর্ক বিশ্লেষণে মিশেল ফুকোর 'ক্ষমতা-জ্ঞান' ধারণা গ্রহণ করা হয়েছে। মিশেল ফুকোর ‘Normalization’ ধারণা কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে কার্যকর এবং গম্ভীরা গানের কুশলীরা কেমন করে উচ্চবর্গের ক্রীড়নকে পরিণত হয় তা এই প্রবন্ধে অনুসন্ধান করা হয়েছে।
